স্বপ্নে আমি তারে দেখেছি নয়ন ভরে, স্বপ্নে কে যেন ডাকিয়া বলল মোরে, তুমি কি দেখেছ কখনও চাঁদের মত সুন্দর একটি মুখ। সে হাঁসিলে মুক্ত ঝরে , তার সৌন্দর্য দেখে চাঁদও লজ্জা পায়। সে যেন সদ্য ফুটা গোলাপ, তার ঠোট টকটকে লাল, কেশ তার ভৌমর কাজল কালো । আঁখি দুটি তার দিয়েছে বিধাতা, যেন মায়াবি হরীণি। আমি দিবা নিশিতে তাকে সপ্নে দেখেছি বহুদিন ধরে । আমি শুধু একটিবার স্পর্শ করব তারে? সেই আনন্দ নিয়ে এই ধরনীর পরে বেঁচে থাকব যতদিন। আমি ভাবি তোমার ঐ পরশ যেন সব সময় স্বরণীয় হয়ে থাকবে আমার হ্নদায়ে। ভালবাসা যা দেয় তার থেকে বেশি নেয় যে, কেড়ে। যৌবনে যার হলনা প্রেম, তার জীবনই বৃথা। ব্যর্থ এ জীবনে প্রেম এসেছিল একদিন নীরবে । হায়রে নিয়তী সকালে যাকে বাসলাম ভাল শাঝের বেলায় হলো সাংগো । দিনটি ছিল শুক্রবার ছুটির দিন মন ভাল নেই তাই ভাবছি আর হাটছি বহুদিনের একটা সৃতি মনে পড়ছে বারবার তাই ঘুরতে ঘুরতে পার্কের যে জাগায় গেলে আমার হৃদয়ের মাঝে উতাল পাতাল ঢেউ খেলে যায় সেই জায়গাতে যাব এটাই ভাবছি এবং হাটছি আর মনে মনে ভাবছি কল্পনার সাথে রং মিশিয়ে আকাশ কুসুম ভাবছি আজ আমার সাথে অপরুপার দেখা হবে কি? আবার ভাবছি কি করে সম্ভব সে তো আমাকে চোখের জলে ভাসিয়ে অনেক দিন আগে কোন এক বড় লোকের ছেলেকে বিয়ে করে আমেরিকায় পাড়ি দিয়েছে । সবার জীবনে কিছু কিছু স্মৃতি আছে , কিছু কিছু ভাবনা আছে যা কখনও যায় না ভোলা। আবল তাবল অনেক কিছুই ভাবছি আর হাটছি । বিধাতার লিখন কার সাধ্য আছে খন্ডন করিতে পারে হঠাৎ আমার চিরচেনা জাগার দিকে নজর পড়িতেই দেখি অপরুপার মত কে যেন দাঁড়িয়ে আছে । দৃর থেকে খুব একটা বুঝা যাচ্ছে না। আমি মনে মনে ভাবছি। কি? করে সম্ভব অপরুপা হতেই পারে না। সে কোথা থেকে আসবে সে থাকে বহু দূরে । যা হোক সকল জল্পনা কল্পনার অবশান ঘটলো । আমি যত নিকটে যাচ্ছি ততই মনে হচ্ছে সত্যিই অপরুপা দাঁড়িয়ে আছে, সেই ডালিম ফুলের মত ঠোট, আপেলের মত লাল গাল, মুক্তার মত সাদা ধব ধবে দাঁত, চুল শাওনের মেঘ, আঁখি দুটি মায়াবি হরীনি। সেই মুখ সেই হাঁসি অপরুপা ছাড়া এত সুন্দর হাসি কে হাসতে পারে, এত সুন্দর চাঁদ মুখ আমার অপরুপার ছাড়া কার আছে । এবং কি যেন ভাবছে অপরুপা ; অপরুপাকে দেখার পর বিধাতাকে লক্ষকোটি শুক্রিয়া জানালাম । আমি এক পা দু পা করে অপরুপার নিকটে গেলাম এবং তখনও মনে হচ্ছে সত্যিই কি অপরুপা না অন্য কেউ। এমন সময় হঠাৎ অপরুপা আমার দিকে তাকাল এবং অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রহিল । মুখে কোন কথা বলল না। শুধুই অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল। তার চোখ দুটি জলে টলমল করছে, শুধু শুধাল কেমন আছ ,আমি নিজেকে সামলে নিয়ে বল্লাম খোদাতালা যেমন রেখেছে তেমনি আছি, কিন্তু তোমার মত ভাল নেই । দোয়া করি ঐ মহান সৃষ্ঠিকর্তার নিকট তিনি যেন তোমাদেরকে ভাল রাখে সুখে রাখে এইটুকু প্রার্থানা করি । আমার এ কথা শুনার পর অপরুপা বাচ্চাদের মত ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদতে লাগল আর আমাকে বলল আমার সব শেষ হয়ে গেছে তোমাকে কষ্ট দেওয়ার অপরাধে খোদাতালা আমাকে সে শাস্তি দিয়াছে । আমি তোমার যে কষ্ট দিয়াছি তার প্রাশ্চিত্ত করিতে চায় আমি তোমাকে বহু খুজেছি এখানে সেখানে কিন্তু তোমাকে কোথাও পাইনি তায় আজ দুই বছর ধরে আমি প্রায় প্রতিদিন এখানে আসি যদি তোমার সাথে দেখা হয় । কারণ তোমার ঠিকানাটা আমি হারিয়ে ফেলে ছিলাম তানা হলে তোমার সাথে আমার অনেক আগেই দেখা হত । অপরুপা আমার হাত দুটিধরে বলল তুমি আমাকে ক্ষয়া করে দাও তুমি যদি ক্ষয়া না কর তবে আমি আখেরাতে সৃকর্তার কাছে মাফ পাব না। তোমার সাথে আমার অনেক কথা আছে । আজ আমি বড় একা আমার কেউ নেই। তুমি হয়ত জান না আমি বর্তমানে কি অবস্থায় আছি । মানুষ যখন বিপাদে পড়ে তখন সে আল্লাতালাকে বেশি বেশি করে ডাকে আবার যখন বিপাদ চলে যায় , তখন সব ভুলে যায়। পৃথিবীটা আজব জাগা । স্বার্থের কাছে প্রায় সবাই জিম্মি আমি সেটায় ভাবি,আমি পারিবারিক চাপে তোমাকে ঠকিয়ে যাকে বিয়ে করতে বাধ্য হলাম এবং ৫টি বছর যার সাথে থাকলাম, আর সেই কিনা আমাকে ফাঁকি দিয়ে চলে গেল আমি কিছুই জানলাম না শুধু নিরাবে চোখের জল ফলা ছাড়া আর কিছু করার ছিল না। যা হোক অপরুপার কথা শুনার পর আমার নিজের দুঃখের কথা কি আর বলব আমি অপরুপার কথা শুনতে থাকলাম আর তার দুঃখ এতই করুণ সে কথা শুনলে যে, কারুর চোখে জল এসে যাবে। প্রথমে তার এত কিছু জানার আগ্রহ আমার ছিল না । কিন্তু সে আমাকে বলল তুমি আমার জীবনের প্রথম পুরুষ এবং প্রথম প্রেম। তোমাকে আমি কি করে ভুলতে পারি বল। আমি খুব জোরে জোরে হাঁসতে থাকলাম আমার হাঁসি দেখে অপরুপা বলল কি ব্যাপার তুমি এ ভাবে হাঁসছ কেন । আমি বলিলাম হাঁসবো না তো কাঁদব । অপরুপা আমার কথা শুনে আবার কাঁদতে শুরু করল আমি বললাম কাঁদার কি হল ।তু মি আবার কেন কাঁদছ, সে আমাকে বলল সত্যিই আমি তোমার কাছে উপহাসের পাত্র হয়েগেছি কারণ আমি তোমার সাথে অন্যায় করেছি , তার জন্য আমি তোমার নিকট ক্ষমা চাচ্ছি তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও। আমি কোথায় ছিলাম কি করেছি সব কিছুই তোমাকে আমি বলব.আমি তার দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি কিন্তু সে যে, কি বলল সেটা আমার মাথায় কিছুই ঢুকল না। আমি শুধু চিন্তা করছি এ কি? সেই অপরুপা যাকে নিয়ে আমি স্বপ্ন দেখতাম দিবা রাত্রি,এ কি? সেইঅপরুপা যাকে নিয়ে দিঘ্রির পাড়ে বসে বসে কত না স্বপ্নের বাসর সাজিয়েছি মনের মাধুরি মিশিয়ে । এ যেন পুতুল খেলাকেও হার মানায়, তার সাথে স্বপ্নে আমি ভালবাসার বাসর সাজিয়ে কত রঙ্গিন স্বপ্ন দেখতাম । এ কেমন স্বপ্ন আমার, যা অংকুরেই শেষ হয়ে গেল ,একদা ঈশান কোনে কাল বৈশাখীর ঘন কাল মেঘ, সব কিছু নিমিশে লন্ড ভন্ড করে দিল । সে দিনের সেই সূতি আমার মনের গভীরে যে, ক্ষত হয়েছে পারিনি আজও ভুলতে। ব্যর্থ প্রেমের গিলানি নিয়ে বয়ে বেড়িয়েছি বহুকাল । প্রথম যে, দিন তোমায় দেখেছিলাম সে দিনের সূতির কথা আমি আজও পারি না ভুলিতে। সে দিনের সেই সূতি । পূর্বলোকে সূর্য দেবতা ধরণীর পরে আর্বির ভাবের আভাস জানান দিল মত্তলোকে । আমি কাজলা দিঘিতে গিয়েছিলাম পদ্ম তুলিতে । পদ্ম দিঘির ঘাটে একাকি বসিয়া কাকের মত কাল চুল এলিয়ে পা দুটি কেলিয়ে যেন, সদ্য ফুটা পদ্ম । আমি চুপি চুপি এক আছলা জল ছিটিয়ে দিয়েছিলাম তার গায় । তার জন্য তুমি আমাকে দিয়েছিল গালি। আমি তোমাকে বলেছিলাম তুমি মানবী না পরী । আমার কি দোষ তোমার চাঁদ বদনী মুখানি দেখার পরে মনে হলো তুমি সত্য কি মানুষ না পরি। এক দিন আমি মনে মনে ভাবছি আজকে অপরুপা কে, কাছে আরো কাছে ,আমার হ্রদায়ের সাথে জড়িয়ে ধরব, আমার মনের সাধ মিটিয়ে নিব তাকে কাছে টেনে, চাই না কোন কিছু আমি শুধু চেয়েছিলাম তোমাকে। তোমাকে আমি কত যে ভাল বাসতাম সে কথা হ্রদায় দিয়ে বুঝানো যায় কিন্তু ভাষা দিয়ে বুঝানো সম্ভাব নয়। আমার কাছে অপরুপা ছিল স্বপ্ন, স্বর্বাধিক্ আমার সারা হ্রদয় জুড়ে শুধু একটি নামই প্রতিধনি হত সেটা অপরুপা । তোমাকে আজ এত কাছে পাব ভাবিনি কখন ও অপরুপা তুমি কী? সত্যই আমার সেই অপরুপা । অপরুপা আমাকে বলিল কেন তোমার কি এখন ও বিশ্বাস হচ্ছে না। যদি বিশ্বাস না হয় তবে ছুঁয়ে দেখ। আমি অবাক নয়নে তাকিয়ে শুধু অপরুপা কে দেখছি আর ভাবছি। তুমি ছিলে আমার হ্রদয় জুড়ে এবং আজও ঠিক তমনি আছ সেই খানে। আমি আজ ৭টি বছর ধরে শুধু তোমাকে খুঁজেছি শহরে, বন্দরে, গ্রাম্ গঞ্জে, সব খানে। সেটা শুধু জানে বিধাতা,অপরুপা আমকে বলিল সেই চির চেনা ভংগিতে এই এটকু শুনো, আমি বললাম কি বলবে বল। অপরুপা আমাকে বলল তোমার সাথে আমার বহু কথা বলার আছে যদি তুমি শোন ,এবং আমার এই কথা গুলো তোমার শোনার খুবই প্রয়োজন আছে। অপরুপা কথা বলছে ঠিকই কিন্তু তার চোখ দুটি জলে ছল ছল করে উঠল, আমি কিছু বলার আগেই সে আমাকে যা, বলিল সেটা শুনার পরে নিজেকে খুব ছোট মনের মানুষ বলে মনে হল। আমি বলিলাম আমি তোমাকে আঘ্রাত দেওয়ার জন্য বলিনি । অপরুপা আমার হাত দুটি ধরে কাঁদ কাঁদ কন্ঠে বলল এই শোন লক্ষীটি তুমি আমার সব কথা শুনার পর আবার আমাকে দূরে ঠেলে দেবে নাতো আমার ভীষন ভয় করছে। আমি আর হারাতে চাই না। আমি অপরুপার হাত দুটি শক্ত করে ধরে বললাম তুমি যখন, তোমার ভুল শুধর্ আমার কাছে ফিরে এসেছ, এটায় আমার বড় পাওয়া আমি আর কিছুই চায় না। আমি আর কিছু জানতে চাই না । তোমার জন্য পথে পথে ঘুরে বড়িয়েছি ভঘুরের মত। আজ আমি তোমাকে কাছে পেয়েছি, আমার আর কিছু চায় না। শুধু তুমি আমার পাশে থাকবে এর বেশী কিছু চাই না আমি। আমার কথা শেষ না হতেই এমন ভাবে কাঁদবে সেটা আমি কপ্লনা করিনি। সে বাচ্চাদের মত ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে লাগল , আমি তাকে শান্তা করার অনেক চেষ্টা করলাম কিন্তু সে আমার কোন কথায় শুনছে না শুধু বলছে আমি তোমাকে কি দিব আমার দেওয়ার মত কিছু নাই, আমার সব শেষ হয়ে গেছে । আমি তাকে বললাম না তোমার কিছুই শেষ হয় নাই, তোমার জীবনে কি ঘটেছে সেটা আমার শোনার কোন ইচ্ছা আমার নেই?আমি শুধু তোমাকে ভাল বেসেছি ভালবাসি এর বেশী কিছু প্রয়োজন নেই, বিধাতা তোমাকে আমার কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে। আমি আর কিছু চাই না আর । একথা শুনার পর অপরুপা আমাকে শক্ত করে ধরে বলল ভালবাসা কারে কয় বুঝতে পারিনি এতদিন। আমি ভুল করে হিরা ভেবে কাঁচকে নিয়ে ভালবাসার বাসর সাজিয়ে ছিলাম, ভালবাসায় এত যে, সুখ সে কথা তোমার কাছে না আসলে হয়ত অজানায় থেকে যেত আমার কাছে। আমি আজ বুঝতে পারছি টাকা পয়সা থাকলে সুখী হওয়া যায় না, সুখী হতে হলে মনের মত মন পেতে হয়। তার কথা শুনার পর আমি বললাম ওগো বন্ধু আমার তুমি যে, কি? আমার কাছে জানে শুধু অন্তর জামি। অপরুপা বলল আমরা কক্সবাজার যাব সেখানে তোমার যত কিছু বলার আছে তুমি বলবে তার পরের দিন সকালে আমরা দুজন কক্সবাজারের উদ্দেশ্য রওনা হলাম । আমাদের বহনকারী বাসটি তখন কুমিল্লাতে পৌছায়াছে এবং দুপুরের খাবারের জন্য একটি হোটেলের সামনে যাত্রা বিরতি দিল সবাই খাওয়ার জন্য গাড়ী থেকে নামল আমি অপরুপাকে বলিলাম চল সবাই যখন সবাই খাবার খেতে যাচ্ছে; আমরাও দুপুরের খাবার খেয়ে আসি এ কথা শুনার পর অপরুপা তার ব্যাগ থেকে একটা টিফিন বাটি বের করে বলিল আমি তোমার জন্য নিজ হাতে রান্না করে এনেছি । ওয়াও অপরুপার রান্না খুব চমৎকার একবার খেলে বারবার খেতে মন চাইবে,সে খুব সুন্দর রান্না করে।আমি বহুদিন তার হাতের রান্না খেয়েছি, মাঝে অনেক দিন তার সাথে আমার দেখা হয়নি সে কারণে তার হাতের রান্না খাব কোথা থেকে। যা হোক সবার মত আমরা ও চললাম হোটেলে খাবার খাওয়ার জন্য। আমি একজন ওয়েটরকে ডেকে বলিলাম আমাদের দুইটা প্লেট দেওয়ার জন্য সে আমাদের দুইটি প্লেট দিল। আমার মনে হলো বহুদিন পরে তৃপ্তি সহকারে খেলাম। খাওয়ার পর অপরুপাকে বলিলাম তুমি না থাকলে আমার জীবনটাই বৃথা। আমাদের বহনকারী গাড়ীটি চলছে ঝড়ের বেগে আর এক থেকে দেড় ঘন্টার মধ্যে আমাদের গন্তব্যে পৌছেবে, অপরুপা আর আমি পাশা পাশি বসে আছি,হঠাৎ অপরুপা আমাকে বলল আমার ভীষণ মাথা ব্যাথা করছে, আমি অপরুপার মুখের দিকে তাকিয়ে চমকিয়ে উঠি দেখি তার চোখ মুখ লাল হয়ে গেছে আমি বলিলাম তোমার কি কষ্ট হচ্ছে শুধু মাথা নাড়াল আমি আলতো করে অপরুপার মাথা আমার কোলের উপর নিয়ে ওর মাথা টিপে দিতে লাগলাম তখন দেখলাম অপরুপার কথা বলছে না কিন্তু সে একটু আরাম বোধ করছে এটা খুব ভাল ভাবে বুঝতে পারছি। আমি অপরুপার কানের কাছে মুখ নিয়ে মূদু স্বরে জিঞাসা করলাম এখন কেমন লাগছে বলল খুব ভাল লাগছে, আর ভাল লাগবেই না কেন? তুমি যে, সুন্দর ভাবে আমার মাথা মেছেচ করছ তারে আমার মাথা ব্যাথা সেরে গেছে। আমরা প্রায় কক্স বাজারের কাছে চলে এসেছি গাড়ীর সুপার ভাইজার সবার উদ্দেশ্যে বলল আপনারা নিজ নিজ মাল পত্র গাড়ী থেকে নেমে পড়েন আমরা আমাদের মাল পত্র নিয়ে হোটেল সিবিচ এ আসলাম আমাদের আগে থেকে সিট বুক করাছিল আমরা আমাদের রুমের চাবি নিয়ে আমার রুমে গেলাম হোটেল বয় আমাদের রুমের সব কিছু ঠিক করে চলে গেল, আমি রুমের দরজা বন্ধ করে এসে অপরুপাকে আমার বুকের সাথে জড়িয়ে ধরলাম এবং বললাম এই শোন, অপরুপা বলল কি? বলবে বল আমি দুষ্টমি করে বললাম আমার কি? মনে হচ্ছে জান, তোমাকে ছাড়তে ইচ্ছা করছে না, সারা জীবন তোমাকে না পাওয়ার তৃষ্ণা ছিল সেটা তোমাকে কাছে পেয়ে আরো বহু গুনে বেড়ে গেছে, প্রেম যে এত মধুর তা তোমাকে কাছে না পেলে হয়ত আমার কাছে অপূর্ণই থেকে যেত। অপরুপা বলল বেশ তো সারা জীবন এভাবে আমাকে তোমার বুকে ঠাই দিয়ে ওগো বন্ধ, অপরুপা তুমি জান না। আমি তোমার কথা শয়নে স্বপ্নে সব সময় ভাবতাম। রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় মনে হতো এই বুঝি তুমি আমার সামনে দিয়ে যাচ্ছ, কোন কোন দিন মনে হতো আজকে আমি তোমার সাথে আমার দেখা হবে। তোমার একটিবার দেখার জন্য আমার অবচেতন মন পাগলের মত এই শহরের অলিতে-গলিতে কতবার ঘুরে বেড়িয়েছি তার কোন হিসাব নেই। বিধাতার কাছে ফরিয়াদ করতাম আমি কি দোষ করেছি তোমার কাছে তুমি কেন? আমার জীবনে প্রেম দিলে ।আমি তো কখনও চায়নি কোন ধনীর দুলালীর প্রেমে পড়তে। আবার চিন্তা করি প্রেমতো স্বর্গ থেকে আসে আবার স্বর্গে চলে যায়। এটায় আমার নিয়তী। এই অপরুপা তুমি আমার আরো কাছে আসো তোমাকে কাছে পাওয়ার সাধ মিটাতে দাও। অপরুপা দুস্টুমি করে সোহাগ মাখানো কন্ঠে বলল এই তো আমি তোমার বুকে মুখ লুকিয়ে আছি ওগো তোমার এত দিনে তৃষ্ণা মিটিয়ে নাও ওগো প্রিয়তমা তোমার স্পর্শ আমাকে পাগল করে দিচ্ছে, আমি আর পারছি না । চলবে.................
0 Comment "হারানো প্রেম,নতুন রুপে আর্বিরভাব।"
Post a Comment