বাংলাদেশের গ্রাম বাংলার এক সুখি পরিবারের গল্প।

গ্রাম বাংলার এক সুখি পরিবার একটি পরিবারে বাস করিত মা,বাবা,৬(ছয়) ভাই ৪(চার) বোন,দাদা, দাদী। সব মিলিয়ে তাদের ১৪(চৌদ্দ) জনের এই সুখি পরিবার।পরিবারের কর্তাব্যক্তির নাম ছিল ইব্রাহীম বিশ্বাস তাদের জমি ছিল ১২০০(চার শত) বিঘা, বিশাল বড় একটি দিঘী ছিল , এই দিঘীতে মাছ মারতে আসত  দূর দূরন্ত থেকে অনেক মানুষ তারা বরশি ও হুইল দিয়ে দিয়ে মাছ শিকার করিত । আমরা ছোটরা সেই মাছ শিকার করা দেখতাম কোন কোন দিন বাঁশ ঝাড় থেকে কুঞ্চি কেটে ছিপ বানায়ে পুঁটি মাছ মারতাম । তখনকার  সেই আনন্দের কথা কি বলিব,  ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভাব নয়। এখন সেই ইব্রাহীম বিশ্বাস আর বেঁচে নেই, দিঘী আছে কিন্তু দিঘীতে পানি থাকে না আগের মত । সংস্কারের না করার জন্য খরার সময় পানি প্রায় শুখিয়ে যায় । দিঘীর নাম ছিল কাজলা দিঘী ।এই দিঘীর পাড়ে অনেক বড় বড় গাছ ছিল আম,জাম,কাঁঠাল,বহু ধরনের গাছ ছিল। মনে হত সব সময় পাখির কলতানে দিঘীর পাড় সব সময় মুখরিত হয়ে থাকত। ঝড়ের দিনে আমরা আম কুড়াতে যেতাম দিঘীর পাড়ে।ইব্রাহীম বিশ্বাস যত দিন বেঁচে ছিল তত দিন দিঘীর মাছ মারা কিংবা গাছের ফল পাড়িলে,  তিনি নিষেধ করিতেন না উনার ছেলে মেয়েরা কিছু বলিলে উনি বলিতেন আমি যত দিন বেঁচে থাকবো তোমরা কাউকে কিছু বলিবা না । কারণ মানুষ খাবে আর আমার জন্য আল্লাহর নিকট দোয়া করিবে। বড় ভাল মানুষ ছিল ইব্রাহীম বিশ্বাস। উনি মারা যাওয়ার পর উনার সব কিছু আস্তে আস্তে বিলিন হয়ে যাচ্ছে।ইব্রাহীম বিশ্বাস এর সুখি পরিবারের  গল্প তাদের পরিবারটি এমন ছিল । এখন কার সময় মানুষ যদি তাদের সেই মিলে মেশে থাকা দেখত তবে হিংসায় জ্বলে পুড়ে  অংগার হত।  ইব্রাহীম বিশ্বাসের ৪(চার) মেয়ে ও ৪ (চার) ছেলে,  শুধু মাত্র ছোট ছেলে বাদে সবার বিয়ে ইনি (ইব্রাহীম বিশ্বাস) নিজে বেঁচে থাকতে দিয়ে গিয়াছেন। ছোট ছেলে লেখা পড়া করে  ঢাকাতে থাকে, বাবা বেঁচে থাকতে লেখা পড়ার খরচ বাবা দিত, এখন বাবা বেঁচে নেই, বড় ভাই  ছোট ভাইয়ের লেখা পড়ার খরচ দেয়। তাদের ভাই ও বোন যেমন ভাবী গুলো ঠিক তেমন সবার সাথে মিলে মিশে থাকে । পরিবারের কেহ অসুস্থত হলে সবাই মিলে তাকে সেবা করে। বহুদিন পরে বিশ্বাস বাড়ীতে আনন্দের জুয়ার বয়ে যাচ্ছে। তার কারণ বিশ্বাস বাড়ীর ছোট ছেলের বিয়ে, সেই উপলক্ষে ইব্রাহীম বিশ্বাসের বড় ছেলে গ্রামের সবাইকে দাওয়াত দিয়েছে। এবং সবাইকে আনন্দের অংশিদার হওয়ার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ করেছে।কি আর বলিব ভাই গ্রামের মানুষের মাঝে কি? জানি আনন্দের ঢেউ বয়ে যাচ্ছে, দেখে  মনে হচ্ছে সবার যেন নিজের বাড়ীর কারুর বিয়ে সাধী হচ্ছে,৭ (সাত) দিন ধরে গান বাজনা চলল,তার পর বিয়ের দিন এল বিয়ের বর যাত্রী যাবে ৫০০ (পাঁচশত)জন ১০টা বড় বাস এল এবং ২০(কুড়ি) মাউক্রো বাস এল বর যাত্রী নিওয়ার জন্য। যথা সময়ে বর যাত্রী নিয়ে যাত্রা শুরু করিল,   চলিবে..............

0 Comment "বাংলাদেশের গ্রাম বাংলার এক সুখি পরিবারের গল্প।"

Post a Comment